তাজপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে দূর্নীতির অভিযাগ

গাইবান্ধা প্রতিনিধি:গাইবান্ধার সাদুল্যাপুর উপজেলার তাজপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম, দূর্নীতি ও ¯স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ পাওয়া গেছে । প্রধান শিক্ষক কর্তৃক বিদ্যালয়ের পিয়ন নিয়োগে ৪ লক্ষাধিক টাকার স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করতে তিনি ¯স্বেচ্ছারিতা, অনিয়ম দূর্নীতির আশ্রয় নিয়ে টাকা গুলো আতœসাত করাসহ যোগ সাজসি ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনের অভিযোগ এনে অভিভাবক মহল জেলা সরকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের দপ্তরসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন।

জানা গেছে জেলার সাদুল্যাপুর উপজেলার রসুলপুর ইউনিয়নের তাজপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এনামুল হক ঐ বিদ্যালয়ে যোগদান করার পর থেকেই তিনি বিভিন্ন অনিয়ম দূর্নীতির মাধ্যমে ছাত্র/ছাত্রীদের উপবৃত্তির টাকা কোচিং এর নামে আতœসাত করছে। বিদ্যালয়ের পুকুর লিজ দিয়ে লিজের টাকা সরকারী রাজস্ব খাতে জমা না দিয়ে আতœসাত, বিদ্যালয়ের বিশাল বট গাছ ও এ্যান্ট্র গাছের বড় বড় ডাল পালা কেটে বিক্রি করে আতœসাত, সরকারী নিয়ম অনুযায়ী পূর্বের ম্যানেজিং কমিটি ভেঙ্গে দিয়ে এহডক কমিটি করে ৬০ দিন পূর্বে অভিভাবক ভোটার তালিকা তৈরী না করে মনগড়া ভাবে তড়িগড়ি করে গত ৪ ডিসেম্বর ক্রটি পূর্ন ভোটার করে ১৮ ডিসেম্বর যোগ সাজসি নির্বাচন করে নিজের মনোনীত প্রার্থীকে নির্বাচিত করেন এবং তড়িগড়ি করে ৩ টার পূর্বে ভোট বন্ধ করা হয়। ফলে বিদ্যালয়ের অনেক অভিভাবক অভিভাবিকা তারা তাদের ভোট দিতে না পারায় ক্ষুদ্ধ হয়ে উঠে।

উল্লখ্য যে, উক্ত নির্বাচনে উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার রিটানিং অফিসার না করে, রিটানিং

প্রিজাইডিং ও পুলিন অফিসার, কামারপাড়া সরকারী  প্রাথমিক প্রধান শিক্ষক মোজাহিদুর রহমান ও পূর্ব শ্রীরামপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু সাঈদকে রিটানিং প্রিজাইডিং ও পুলিন অফিসার করে ভোট গ্রহন করা হয়।

এ সব ব্যাপারে প্রধান শিক্ষক এনামুল হক জানান বিদ্যালয়ের নির্বাচনে হেরে গিয়ে ওই সব প্রার্থীরা আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দাখিল করেছে। এ সব ব্যাপারে অত্র এলাকার সচেতন ও অভিভাবক মহল সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

 

Exit mobile version