জি নিউজ ঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন,”ডিজিটাল বাংলাদেশের ধারণা আমার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের কাছ থেকে আমি শিখেছি। ডিজিটাল বাংলাদেশের জন্যই আজকে শিক্ষার্থীরা ফলাফল পাওয়া থেকে শুরু করে ভর্তি হওয়া- সবকিছুই অনলাইনে করতে পারে। এই ডিজিটাল পদ্ধতি চালুর কারণে বাংলাদেশ বিশ্বের দরবারে অনেক বড় স্থান দখল করে আছে।”
বুধবার বিকেলে রংপুরে পীরগঞ্জে আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন,”আওয়ামী লীগ উন্নয়নের দল। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলে দেশের উন্নয়ন হয়, দেশের মানুষকে কিছু দেয়। আর বিএনপি লুটপাটের দল। তারা ক্ষমতায় আসলে লুটপাট করে। বিএনপির আমল মানে লুটপাট, ধর্ষণ, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের আমল। বিএনপির আমলে আমাকে উত্তরবঙ্গে এসে লোঙ্গরখানা খুলে মানুষের পাশে দাঁড়াতে হয়েছে। ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পন্ন করে উত্তরবঙ্গ থেকে মঙ্গা দূর করেছি। কিন্তু বিএনপি ক্ষমতায় এসে আবারো উত্তবঙ্গকে মঙ্গায় ডুবিয়েছে।”
পীরগঞ্জ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোতাহারুল হক বাবলুর সভাপতিত্বে জনসভায় সজীব ওয়াজেদ জয় ছাড়াও বক্তব্য দেন পাটমন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী, নৌ পরিবহনমন্ত্রী শাহজাহান খান, খালেদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি, অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বী এমপি, আব্দুল মান্নান এমপি, আবুল কালাম আজাদ এমপি, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক আফজাল হোসেন, রংপুর জেলা সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট রেজাউল করিম রাজু ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সেক্রেটারি মিয়া মোহাম্মদ তাজীমুল ইসলাম শামীম।
এ সময় মঞ্চে অবস্থান নেন পুত্রবধূ ক্রিস্টিনা, স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু, কেন্দ্রীয় কমিটির কোষাধ্যক্ষ এইচ এন আশিকুর রহমান এমপি, প্রধানমন্ত্রীর বড় জা রওশন আরা ওয়াহেদ, ভাতিজা ছায়াদত হোসেন বকুল ও ইঞ্জিনিয়ার সাঈদ রেজা সান্তুনু।
প্রধানমন্ত্রী ১৭ মিনিটের বক্তব্যে বিদ্যুৎ, শিক্ষা, খাদ্য, গ্যাস ও রাস্তাঘাটসহ তার সরকারের আমলের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের বর্ণনার পাশাপাশি বিএনপি জামায়াত ও হেফাজতের কঠোর সমালোচনা করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ”আমি আমার ছেলে জয়ের কাছ থেকে ডিজিটাল আইডিয়া নিয়ে ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার কাজ করছি। আজকে আমার ছেলের সেই আইডিয়াতেই এখান থেকে ডিজিটাল পদ্ধতিতে আপনাদের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড উদ্বোধন করলাম। প্রতিটি ইউনিয়নে তথ্য সেবাকেন্দ্র খুলেছি। সেখান থেকে মানুষ চিকিৎসা, কৃষিসহ বিভিন্ন ধরনের সেবা পাচ্ছে। বরগা চাষীদের বিনা সুদে লোন দিয়েছি। ১০ টাকায় কৃষকদের ব্যাংক একাউন্ট খুলে দিয়েছি। জানুয়ারি মাসের মধ্যে ছেলে মেয়েরা বই পাচ্ছে। মেয়েদের ডিগ্রি পর্যন্ত অবৈতনিক করেছি। আগামীতে উচ্চ শিক্ষার জন্য বৃত্তি দেয়া হবে।”
তিনি বলেন, ”নির্বাচনী ইশতেহার অনুযায়ী রংপুর বিভাগ, সিটি করপোরেশন, রোকয়ো বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর মেডিকেল কলেজে করোনারী কেয়ার ইউনিট হেলথ টেকনোলোজিসহ বিভিন্ন উন্নয়ন করেছি। আজো রংপুরে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, মেরিন একাডেমী, ড. ওয়াজেদ সেতু ও ডাকবাংলো, আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস, পীরগঞ্জ পৌরসভা, অফিসার্স ডরমেটরি ভবন রংপুর, বিভাগীয় কমিশনার কমপ্লেক্স, ডিআইজি ভবন, পীরগঞ্জ উপজেলা কমপ্লেক্সের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছি।”