লেবু জাতীয় ফল খাওয়ার সময় দাঁত পরিষ্কার হওয়ার কাজটিও হয়ে যায়। এ ছাড়া, আপেল, গাজার ফুলকপির মতো যে সব শাক-সবজি বা ফল চিবিয়ে খেতে হয় তাও দাঁতের উপকার করে। এগুলো প্রাকৃতিক ব্রাশের মতো কাজ করে।
অর্থাৎ দাঁতে দাগ ফেলে এমন খাবার কেবল বাদ দিলেই হবে না। বরং দাঁতকে পরিষ্কার এবং রক্ষা করতে সহায়তা করতে সাহায্য করে সে ধরণের খাবারও বেছে নিতে হবে।
চাবাতে হয় এমন খাবার দাঁতের মাড়ির উপকারে আসে। এতে মাড়ির রক্ত চলাচল বাড়ে, মালিশ দেয়ার মতো কাজ হয় শেষপর্যন্ত মাড়ি সুস্থ থাকে।
দাঁতের জন্য উপকারী আরো কিছু খাবার আছে। আশঁ বহুল সবজি মাড়ির প্রদাহ কমাতে সহায়তা করে। এ ছাড়া, আনারসেই কেবল পাওয়া যায় ব্রমেলেইন নামের একটি প্রাকৃতিক যৌগ। এ যৌগ দাঁতকে পরিষ্কার রাখতে এবং প্রদাহ কমাতে সহায়তা করে।
এ ছাড়া, দাঁতকে সুস্থ রাখার জন্য চাই ক্যালসিয়াম। দুধ বা দইয়ে ক্যালসিয়াম প্রচুর মাত্রায় থাকে সে কথা স্কুলের নিচের ক্লাসের ছাত্রছাত্রীরাও জানে। এ কথাটা জানলেই হবে না। নিয়মিত মানতেও হবে।
দাঁত ঝকেঝকে করার মানুষের এ ইচ্ছাটি বহু প্রাচীন। চার হাজার বছর আগে মিশরের ফেরাওরা প্রাকৃতিক ঝামা জাতীয় এক ধরণের পাথর চুর্ণের সঙ্গে সিরকা মিশিয়ে দাঁত মাজত। এতে দাঁত তার হারান সাদা রঙ ফিরে পায় বলে তারা মনে করা হতো। অন্যদিকে শেষনবী হজরত মোহাম্মদ(সাআ) নিয়মিত দাঁত মেসওয়াক করার ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন।খবর:রেডিও তেহরান,দাঁত ভাল রাখতে হলে নিয়মিত ব্রাশ বা মেসওয়াক করতে হবে। একই সঙ্গে দাঁত ভাল রাখে এমন খাবারও খেতে হবে।