গাইবান্ধায় সহিংসতায় নিহতদের পরিবার ও আহত ক্ষতিগ্রস্থদের সাথে প্রধানমন্ত্রীর মতবিনিময় ও ক্ষতিপূরণ প্রদান

0660-245x300গাইবান্ধা প্রতিনিধিঃগাইবান্ধায় সার্কিট হাউজে শনিবার এসেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জেলার বিভিন্ন স্থানে নির্বাচন পূর্ববর্তী, নির্বাচনকালিন ও নির্বাচন পরবর্তী সময়ে বিএনপি ও জামায়াত-শিবিরের সন্ত্রাসীদের সহিংসতায় নিহতদের পরিবার এবং আহত ও ক্ষতিগ্রস্থদের সাথে মতবিনিময় করেন।

এ সময় তাদের সাথে মতবিনিময়কালে শেখ হাসিনা প্রশ্ন রেখে বলেন, যারা সন্ত্রাসীদের হামলায় আহত, নিহত এবং ক্ষতিগ্রস্থ হলেন, তাদের অপরাধ কি? নির্বাচনে ভোট দিতে যাওয়াই কি তার অপরাধ? ভোট মানুষের গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক অধিকার। মনে রাখতে হবে মানুষের এই অধিকার সমুন্নত রাখতে বর্তমান সরকার এবং তার দল আওয়ামী লীগ কখনই কুণ্ঠিত হবে না।

তিনি বলেন, যারা এ হামলা সন্ত্রাস ও সহিংসতার সাথে জড়িত তাদের কাউকেই রেহাই দেয়া হবে না। ভবিষ্যতে এ ধরণের অপকর্ম কেউ করতে এলে জাতি ধর্ম নির্বিশেষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে  রুখে দাঁড়ানোর আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, মানুষের শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে যতটা কঠোর পদক্ষেপ নেয়া দরকার সরকার তা নেবে।

প্রধানমন্ত্রী সংখ্যালঘুদের উদ্দেশ্যে করে বলেন, এ দেশের মাটি আপনাদের মাতৃভূমি, নিজ এই দেশে কারও দয়ায় নয়, অধিকার নিয়ে বাঁচবেন। কেননা সকল ধর্মের মানুষ কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে যুদ্ধ করে বাংলাদেশকে স্বাধীন করেছে। তাই এদেশে সবার সমান অধিকার। মনে রাখবেন বর্তমান সরকার ও আওয়ামী লীগ আপনাদের পাশে আছে এবং থাকবে।

মতবিনিময় শেষে প্রধানমন্ত্রী সার্কিট হাউজে সন্ত্রাসী হামলায় নিহতদের পরিবারের কাছে এবং আহত, ক্ষতিগ্রস্থদের মধ্যে সরকারী অনুদানের চেক হস্তান্তর করেন। এ সময় গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ, পলাশবাড়ি, সাদুল্যাপুর, সাঘাটা, ফুলছড়ি ও সদর উপজেলার ক্ষতিগ্রস্থ ৭৫ পরিবারের প্রত্যেককে ১০ লক্ষ থেকে ২০ হাজার টাকার চেক প্রদান করা হয়। এরমধ্যে গত বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি দেলোয়ার হোসেন সাঈদির ফাঁসির রায় ঘোষণার পর জামায়াত-শিবিরের তান্ডবের সময়ে পিটিয়ে হত্যা সুন্দরগঞ্জের বামনডাঙ্গা পুলিশ ফাঁড়ির ৩ পুলিশ পরিবারের প্রত্যেককে ১০ লক্ষ, একই উপজেলার ছাত্রলীগ নেতা প্রয়াত খলিলুর রহমানের পরিবারকে ১০ লাখ, জামালেরহাট গ্রামের নিহত আব্দুল হালিমের পরিবারকে ১০ লাখ টাকাসহ অন্যান্য আহত ও নিহতদের সরকারি সহায়তার চেক প্রদান করা হয়। এছাড়া ক্ষতিগ্রস্থ ৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ২টি মন্দির এবং একটি বেসরকারি অফিস সংস্কার ও পুন: নির্মাণেও আর্থিক সহায়তার চেক হস্তান্তর করেন প্রধানমন্ত্রী।

এসময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আশ্বাস দেন গাইবান্ধায় বিএনপি ও জামায়াত-শিবিরের হামলায় যে সমমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সরকারী ভবন এবং মন্দির ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে তা সরকারী সহায়তায় সংস্কার ও পুন: নির্মাণ করা হবে।

 

Exit mobile version