গাইবান্ধা প্রতিনিধি: গাইবান্ধা সদর উপজেলার কুপতলা ইউনিয়নের বেড়াডাঙ্গা বাজারে সংখ্যালঘুদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বাজার সংলগ্ন বসতবাড়িতে সোমবার রাতে হামলা চালায় জামায়াত-শিবিরের ক্যাডাররা। এসময় বেড়াডাঙ্গা বাজারে সংখ্যালঘু পরিবারের ৫টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাংচুর চালানো হয়। এছাড়া পার্শ্ববতী নরেশ চন্দ্র কর্মকার ও ননী গোপাল কর্মকারের বসতবাড়িতেও হামলা চালিয়ে তাদেরকে এবং তাদের পরিবারের লোকজনকে মারপিট এবং বসতবাড়িতে ভাংচুর চালানো হয়। এসময় ওই পরিবারের নারীদের সাথেও অশালীন আচরণ করে সন্ত্রাসী ক্যাডাররা। এতে ননী গোপাল কর্মকার ও নরেশ চন্দ্র কর্মকারসহ ৫ ব্যক্তি আহত হয়। আহতদের মধ্যে থেকে নরেশ চন্দ্র কর্মকারকে গাইবান্ধা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসি সুত্রে জানা গেছে, নৌকা মার্কায় ভোট দেয়া এবং পার্শ্ববর্তী ভোট কেন্দ্রে ভোটের দিন ভোট চলাকালিন সময়ে সন্ত্রাসী কার্যক্রমে বাধা দেয়ায় জামায়াত-শিবিরের ক্যাডাররা এই হামলা চালায়। এদিকে স্থগিত হওয়া ভোটকেন্দ্রগুলোতে ভোট দিতে না যাওয়ার জন্য এবং ভোটেরদিন ভোট দেয়ার কারণে গাইবান্ধা জেলার সংখ্যালঘুর পরিবারগুলোর উপর হুমকি দেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। নির্বাচনের পর থেকে আতংকে রয়েছেন গাইবান্ধার বিভিন্ন এলাকার সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ। হামলা আতংকে তারা উদ্বিগ্ন। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট প্রদান করায় তাদেরকে বিভিন্ন মহল থেকে হুমকি ধামকি দেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তারা। বিশেষ করে গাইবান্ধা সদর ও সুন্দরগঞ্জের সংখ্যালঘু সম্প্রদায় বেশী আতংকগ্রস্থ হয়ে পড়েছে। সুন্দরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি ও দশম সংসদ নির্বাচনে আ’লীগ দলীয় প্রার্থী মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন এবং বাংলাদেশ পুজা উদযাপন পরিষদের সদর উপজেলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সুজন প্রসাদ এই অভিযোগ জানিয়েছেন। তারা হামলাকারীদের অবিলম্বে গ্রেফতার এবং তাদির দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবী জানান।