কাদের মোল্লার ফাঁসি যে কোনো সময়

জি নিউজka     1 বিডি ডট নেট  ঃ- একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আবদুল কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে মৃত্যু পরোয়ানা জারি করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। গতকাল রোববার এ মৃত্যু পরোয়ানার কপি (ডেথ ওয়ারেন্ট] ট্রাইব্যুনালের ডেপুটি রেজিস্ট্রার অরুণাভ চক্রবর্তী লাল কাপড়ে মুড়িয়ে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। এর আগে বিকাল ৪টার দিকে ট্রাইব্যুনালের ডেপুটি রেজিস্ট্রার অরুণাভ চক্রবর্তী লাল কাপড়ে মোড়ানো পরোয়ানার কপি (ডেথ ওয়ারেন্ট] জেল কর্তৃপক্ষকে পৌঁছে দেওয়ার জন্য ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের উদ্দেশ্যে ট্রাইব্যুনাল ত্যাগ করেন। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রার একেএম নাসিরউদ্দিন মাহমুদ গতকাল বিকেলে পরোয়ানা জারির এ তথ্য সাংবাদিকদের জানান। বেলা পৌনে ১১টার দিকে সুপ্রিমকোটের্র রেজিস্ট্রার এ কে এম শামসুল ইসলাম আন্তর্জাতিক অপরাধের ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রার এ কে এম নাসির উদ্দিনের কাছে রায়ের কপি হস্তান্তর করেন। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে আপিল বিভাগ থেকে ৭৯০ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করা হয়। প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে ৫ বিচারপতির সমন্বয়ে গঠিত সুপ্রিম কোটের্র আপিল বিভাগ সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে গত ১৭ সেপ্টেম্বর মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে আবদুল কাদের মোল্লাকে ফাঁসির আদেশ দেন। বেঞ্চের অপর বিচারপতিরা হলেন- বিচারপতি এস কে সিনহা, বিচারপতি মোঃ আবদুল ওয়াহহাব মিঞা, বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ও বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী। উল্লেখ -একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় হত্যা, ধর্ষণ, লুটপাট, অগি্নসংযোগ ও নির্যাতনের দায়ে জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল কাদের মোল্লাকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গত মার্চ মাসে যাবজ্জীবন সাজার আদেশ দেন। সেদিন কাদের মোল্লা রায় শুনে দুই আঙুলে ভি চিহ্ন দেখিয়েছিলেন। এরপর সাজা বাড়ানোর জন্য রাষ্ট্রপক্ষের করা আপিলের রায়ে মৃত্যুদ হয় একাত্তরে ‘মিরপুরের কসাই’ নামে খ্যাত এই জামায়াত নেতার। এছাড়া প্রত্যেক মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত বন্দির ক্ষমা প্রার্থনার আবেদন করার অধিকার থাকবে। কোনো মামলার চূড়ান্ত নিষ্পত্তির পর জেল সুপার তা বন্দিকে জানিয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করার বিষয়ে তার মতামত জানতে চাইবেন। ক্ষমা প্রার্থনার জন্য আসামির সর্বোচ্চ সময় সাত দিন। আবেদন পাওয়ার পর জেল সুপার তা স্বরাষ্ট্র সচিবের কাছে পাঠাবেন। সঙ্গে পৃথক পত্রে মৃত্যুদ কার্যকরের সম্ভাব্য দিন এবং আসামির দণ্ডের বিষয়ও থাকবে। বিষয়েটি কারাবিধিতে উল্লেখ আছে।তাঃ-০৯-১২-২০১৩

Exit mobile version