মিরপুর প্রতিনিধি, জি নিউজঃ আইটিতে উচ্চতর পাঁচটি ডিগ্রী নিয়ে দেশে ফেরে মোশারফ। ও বিদেশ থেকে দেশে ফিরে আসার আগে শিখে এসেছে কি করে ক্রেডিটকার্ড জালিয়াতি করা যায়। ওর ভাষ্যমতে মোশারফ ডেনমার্কে থাকা কালিন তার এক বুলগেরিঢান বন্ধু রোজেন আইলির কাছ থেকে কি করে ক্রেডিট কার্ড জালিয়াতি করা যায় আর রাতরাতি ধনি হওয়া সে বিদ্যাটা খুব ভালকরে মনযোগ দিয়ে শিখেছে । আর দেশে এসে মদের আড্ডায় পরিচয় হয় বৃটিশ পাসপোর্টধারি শ্রীলঙ্কান নাগরীক মোহনথারাস পনউথারাইর সঙ্গে। মোশারফের শক্বি বর্ধিত হয়। সে হয়ে উঠে আরও সাহসী। শলাপরামর্শ করে নেমে যায় কাজে। প্রথমে চিটাগাং। ওখানে পরিচয় হয় আবদুর রহমানের সাথে। তিনজনের মিলিত বুদ্ধিতে চিটাগাংয়ের অভিজাত পাড়ার এটিএম বুথ গুলো বেছে নেয়।পরিচিত হয় কখন বেসরকারি ব্যাংকের আইটি প্রধান। কখন ক্রেডিট কার্ড ডিভিশন প্রধান। গলায় জাল আইডি কার্ড ঝুলিয়ে এটিএম বুথের নিরাপত্তা কর্মিদের বোকা বানিয়ে বুথে প্রবেশ করে উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন যন্ত্রপাতি দিয়ে গ্রাহকদের গোপন পিন নম্বরটি জেনে ফেলেন। পরে বিভিন্ন শপিংমলে যেয়ে জাল ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে স্বর্ণালঙ্কার সহ দামী দামী জিনীস নিয়ে অনত্র বিক্রী করে নগদ টাকা হাতিয়ে নিয়ে নিত ওরা। ওখানকার ব্যাংক কর্মকর্তাদের সন্দেহ হওয়াতে ক্রেডিট কার্ডের লেন দেন বন্ধ করে দেন। তখন ওরা চট্রগ্রাম থেকে ঢাকায় চরে আসে। ঢাকায় এসে ব্রাক ব্যাংক, ডাচবাংলা ব্যাংক ইউসিবিএল ব্যাংকের বিভিন্ন শাখা থেকে টাকা উত্তলনের চেষ্টা করে। মোশারফ মিরপুরে শেওড়াপাড়ায় বাসা ভাড়া করে থেকে কুমিল্লায় তার বাবা মাকে জনাত সে সুইডেনে আছে। সে ওনাদের সাথে ইন্টারনেটের মাধ্যমে কথা বলত। গোয়েন্দাদের জিঙ্গাসাবাদের ফলে ওরা সমস্ত তথ্য প্রকাশ করে দেয়। ওদের কর্ম পরিকল্পনায় ছিল, দশ কোটি টাকা হলেই ওরা দেশ ছেড়ে চলে যাবে। কিন্তু শেষ রক্ষা হলোনা। গোপন তথ্যর বিনিময়ে গোযেন্দারা তাদের ধরে ফেলল। প্রথমে আবদুর রহমানকে চিটাগাং থেকে এ্যারেষ্ট করে তার ভাষ্যমতে মোশারফকে শেওড়া পাড়া থেকে। আর মোহনথারসকে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর থেকে এ্যারেষ্ট করা হয়। মোহনথারাস কাতার এ্যায়ারলাইনসে করে লন্ডনে পালিয়ে যাচ্ছিল। আটকের সময় তার কাছ থেকে একটি লেপটপ,ক্রেডিট কার্ড বানানোর এনএফসি মেশিন,কয়েকটি সিসি ক্যামেরা, জাল ক্রেডিটকার্ডও বৃটিশ পাসপোর্ট জব্দ করে পুলিশ। আইটি সেক্টরে তার এগার বৎসরের অভিজ্ঞতা আছে। এখন তারা গোয়েন্দা নজর দারিতে আছে। তাদেরকে জিঙ্গাসাবাদ করা হবে আরও কেউ এদর সাথে জড়িত আছে কিনা।
হান্নান সরকার-জি নিউজ