জি নিউজঃ-চাঞ্চল্যকর বাবা-মা হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তারের পর কিশোর সংশোধনাগারে থাকা ঐশী রহমানকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছে আদালত। গতবৃহস্পতিবার ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আনোয়ার সাদাত, সমাজসেবা অধিদফতরের প্রবেশন অফিসার ছিদ্দিকুর রহমানের আবেদনের প্রেক্ষিতে এ নির্দেশ দেন। আবেদনে বলা হয়, ঐশীর জন্মসনদ অনুযায়ী তার বয়স আঠারোর বেশি। যে কারণে তিনি শিশু হিসেবে বিবেচিত হন না। কিশোর সংশোধনী কেন্দ্রে শিশু-কিশোর ছাড়া কারও থাকার অধিকার নেই। যে কারণে ঐশী রহমানকে কিশোর সংশোধনী কেন্দ্র থেকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হোক। গত১৬ই আগস্ট রাতে রাজধানীর চামেলিবাগের ‘চামেলি ম্যানশনে’র ৬ তলার ৫/বি ফ্ল্যাট থেকে এসবির ইন্সপেক্টর মাহফুজুর রহমান ও তার স্ত্রী স্বপ্না রহমানের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ । লাশ উদ্ধারের পর পলাতক ছিলেন তাদের একমাত্র মেয়ে ঐশী। এর পর শনিবার দুপুরে রাজধানীর পল্টন থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করে ঐশী। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে তিনজনকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। রিমান্ড শেষে ঐশী ও কাজের মেয়ে সুমি ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে হত্যার দায় স্বীকার করে ফৌজধারী কার্যবিধির ১৬৪ ধারা মোতাবেক স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। স্বীকারোক্তি শেষে বিচারক তাদের গাজীপুরে শিশু কিশোর সংশোধন কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। অক্সফোর্ড ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের ও লেভেলের ছাত্রী ছিলেন ঐশী । তাঃ- ২৯আগস্ট ২০১৩