জি নিউজ বিডি ডট নেট ঃ- অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ থেকে জারি করা এক পরিপত্রে গতকাল এ কথা বলা হয়েছে। আগামী উপজেলা নির্বাচনে ঋণখেলাপিরা অংশ নিতে পারবেন না। তবে নিজ বসবাসের জন্য নেয়া গৃহ ঋণ বা কৃষি ঋণখেলাপিদের নির্বাচনে অংশ নেয়ার ক্ষেত্রে কোনো বাধা নেই।এদিকে পরিপত্রে সব ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ঋণখেলাপিদের হালনাগাদ তালিকা প্রস্তুত এবং সেই তালিকা জরুরি ভিত্তিতে রিটার্নিং অফিসারদের কাছে পৌঁছে দেয়ার কথা বলা হয়েছে। উল্লেখ করা হয়েছে পরিপত্রে-ঋণখেলাপিসংক্রান্ত তথ্যের নির্ভুলতার দায়দায়িত্ব ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের শাখা ব্যবস্থাপক, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার ওপর বর্তাবে। ভুল তথ্য পরিবেশন করলে বা ঋণ খেলাপসংক্রান্ত তথ্য উপস্থাপনে ব্যর্থ হলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।উপজেলা পরিষদ আইন ১৯৯৮-এর বিধান বলে ঋণখেলাপিদের অংশগ্রহণ ঠেকাতে এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। উপজেলা পরিষদ আইন মতে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মনোয়নপ্রত্যাশী কোনো প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার তারিখে কোন ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে নেয়া ঋণের অর্থ বা ঋণের কিস্তি মেয়াদোত্তীর্ণ অবস্থায় অনাদায়ী রাখলে তিনি নির্বাচনের অযোগ্য হবেন। তবে কোনো ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে নিজস্ব বাসভবন নির্মাণের জন্য নেয়া ঋণ বা ুদ্র কৃষি ঋণ এই নির্দেশের আওতায় পড়বে না। আইনের ৮(২) ধারা মতে, যদি প্রার্থী এমন কোনো কোম্পানির পরিচালক বা ফার্মের অংশীদার হন যার কোনো ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে নেয়া ঋণ বা ঋণের কিস্তি মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার তারিখে পরিশোধে খেলাপি হন তা হলে তিনি নির্বাচনের অযোগ্য হবেন।বলা হয়েছে, সব ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপক, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এ সংক্রান্ত আইন ও তার ব্যাখ্যা অনুসারে সব হিসাব হালনাগাদ করে একটি তালিকা প্রস্তুত করবেন। রিটার্নিং অফিসার থেকে বা বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত বা অন্য কোনো উৎস থেকে পাওয়া প্রার্থীদের তালিকার সাথে শাখার হালনাগাদ তালিকা মিলিয়ে ঋণখেলাপি প্রার্থী আছে কি না নিশ্চিত করতে হবে।মনোনয়ন দাখিলের পরপর ব্যবস্থাপক ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রিটার্নিং অফিসারের কাছ থেকে প্রার্থীর (পিতা-মাতার নাম ও ঠিকানাসহ) তালিকা সংগ্রহ করবেন। কোনো খেলাপি ঋণগ্রহীতা মনোনয়ন দাখিল করলে এ তথ্য দ্রুত ব্যাংক থেকে সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসারের কাছে পাঠানোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের সময় সংশ্লিষ্ট ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের শাখা ব্যবস্থাপক ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ঋণখেলাপিসংক্রান্ত তথ্য ও কাগজপত্রসহ উপস্থিত থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।পরিপত্রে নির্দেশ দেয়া হয়, প্রার্থীদের একটি তালিকা নির্বাচন কমিশন সংশ্লিষ্ট ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সিইও ও এমডির কাছে বিশেষ দূত মারফত প্রেরণ করবেন। তালিকা পাওয়ার পর ঋণখেলাপিদের হালনাগাত তথ্যের সাথে ব্যাংক থেকে মিলিয়ে দেখবেন। যাচাই-বাছাই করে আবার ওই তালিকা নির্বাচন কমিশনের সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসার, কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও নির্বাচন কমিশন অফিসে ফ্যাক্স মারফত প্রেরণ করতে হবে।বাংলাদেশ ব্যাংকের ক্রেডিট ইনফরমেশন ব্যুরো সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসার এবং নির্বাচন কমিশনের কাছে প্রার্থীদের ঋণখেলাপিসংক্রান্ত তথ্য মিলিয়ে দেখবেন। প্রয়োজনে নির্বাচন কমিশন ও রিটার্নিং অফিসারকে আবশ্যক তথ্য সরবরাহ করবেন।উপজেলা নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ঘোষণা মোতাবেগ আগামী ১৯ ফেব্র“য়ারি ১০২টি উপজেলা এবং ২৭ ফেব্র“য়ারি ১১৭টি উপজেলা নির্বাচন হবে । দ্বিতীয় দফায় ১১৭টি উপজেলা নির্বাচনের মনোনয়নপত্র দাখিল করার শেষ সময় হচ্ছে ২ ফেব্র“য়ারি, যাচাই-বাছাই ৪ ফেব্র“য়ারি এবং প্রত্যাহারের শেষ দিন ১১ ফেব্রুয়ারি।তাঃ- ৩১ জানুয়ারি ২০১৪।