ইসলাম অবমাননার প্রতিবাদে বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ: পুলিশের গুলি

জি নিউজ অনলাইনঃ- পবিত্র হজ এবং মহানবী (স.( কে নিয়ে মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকীর আপত্তিকর মন্তব্যের প্রতিবাদে যশোর, নাটোর এবং রাজশাহীতে বিক্ষোভরত জনতার ওপর গুলি চালিয়েছে পুলিশ। গতকাল বিকাল চারটার দিকে যশোর প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত ২০ দলীয় জোটের মানববন্ধনে পুলিশ গুলি চালালে অন্তত: পাঁচজন গুলিবিদ্ধ হয়ে। এদের মধ্যে কামাল নামে এক বিএনপি কর্মীর অবস্থা গুরুতর বলে জানা গেছে। এসময় জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদকসহ ১০ জনকে আটক করা হয়েছে।
ওদিকে, নাটোরে জামায়াতের নেতাকর্মীদের বিক্ষোভ মিছিলে রাবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করেছে পুলিশ।
বুধবার বিকেল পৌনে ৫টার দিকে তৌহিদী জনতার ব্যানারে মিছিল বের করার পর শহরের হরিশপুর বাইপাস সড়কে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় ৭/৮ জন জামায়াত কর্মী আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে তাদের নাম পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। এ সময় জেলা জামায়াতের আমির ইউনুস আলীসহ পাঁচ জামায়াত নেতা-কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ।
এর আগে বুধবার দুপুরে রাজশাহী মহানগরীর কাদিরগঞ্জ এলাকায় প্রতিবাদ মিছিলে বাধা দেয়াকে কেন্দ্র করে পুলিশের সঙ্গে জামায়াত-শিবিরকর্মীদের সংঘর্ষ হয়েছে। এসময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ কয়েক রাউন্ড শর্টগানের গুলি ছুড়ে।
বোয়ালিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম আবদুস সোবহান জানান, দুপুর ১২টার দিকে মন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকীর মন্তব্যের প্রতিবাদে নগরীর নিউমার্কেট এলাকা থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে জামায়াত-শিবিরকর্মীরা।
মিছিলটি অলকার মোড়ে গিয়ে সমাবেশ করে শেষ হয়। সমাবেশ শেষে যাওয়ার সময় কাদিরগঞ্জ মহিলা কলেজের সামনে মিছিলকারীদের পুলিশ বাধা দেয়। এসময় শিবিরকর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে দুটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায়। পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করতে শর্টগানের গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে এ ঘটনায় কাউকে আটক করা যায়নি।
এদিকে, মহানবী(সা.), হজ্ব ও তাবলিগ জামাত নিয়ে কটূক্তি করার দায়ে ১৫ অক্টোবরের মধ্যে ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকীকে গ্রেপ্তার না করলে ২৬ অক্টোবর দেশব্যাপী সকাল-সন্ধ্যা হরতালের হুমকি দিয়েছে সম্মিলিত ইসলামী দলসমূহ।
বুধবার বিকেল সাড়ে ৩টায় জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন সংগঠনটির মহাসচিব মাওলানা মো. জাফর উল্লাহ খান। এছাড়া শুক্রবার জুমার নামাজ শেষে বাইতুল মোকাররম মসজিদ থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করারও ঘোষণা দেন তিনি। একই সঙ্গে হেফাজতে ইসলামের আগামীকালের কর্মসূচির প্রতিও সমর্থন জানিয়েছে ইসলামী দলগুলো।
সরকারের তীব্র সমালোচনা করে জাফরুল্লাহ খান বলেন, ‘আমরা এই মন্ত্রীর হীন বক্তব্যে ক্ষুব্ধ হলেও আশ্চর্য নই। কেননা, যে সরকার সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতার দাপটে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী দ্বারা সংবিধান থেকে মহান আল্লাহর ওপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাসকে উৎখাত করে অধর্মের ধর্ম নিরপেক্ষতাকে প্রতিষ্ঠা করতে পারে, সেই সরকারের বেপরোয়া মন্ত্রী আল্লাহর নবী-রাসুল ও ধর্মের ব্যাপারে কটাক্ষ করবে তা বিস্ময়ের কি।খবর:রেডিও তেহরান, সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন- সম্মিলিত ইসলামী দলসমূহের যুগ্ম মহাসচিব খলিলুর রহমান মাদানী, সাজেদুর রহমান ফয়েজি, মাওলানা ফখরুল ইসলাম, মাওলানা মহীউদ্দিন প্রমুখ।

Exit mobile version