গতবৃহস্পতিবার গণভবনে পিরোজপুর জেলা আওয়ামী লীগের তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময়ে এভাবেই বিএনপির তত্ত্বাবধায়েকের দাবির বিপরীতে নিজের দলের অবস্থান লে ধরেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রীওপ্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা । তিনি বলেছেন, আমি জানি না, বিএনপি এখন কোন আশায় এই তত্ত্বাবধায়ক চায়। আবার যদি তত্ত্বাবধায়ক আসে- তারা তো আর ইলেকশন দেবে না। নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে আসা বিরোধীদলকে উদ্দেশ্য করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, এবার তত্ত্বাবধায়ক এলে আর যাবে না। তখন তারা (বিএনপি) কী করবে, তখন তো কপাল চাপড়াইয়া কাঁদবে।১৯৯৬ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবির পক্ষে আওয়ামী লীগের আন্দোলনের যৌক্তিকতা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, আমরা কেয়ারটেকার চেয়েছিলোম- এটা ঠিক। কেন চেয়েছিলাম? তখন বিএনপি কারচুপি, সন্ত্রাস, ভোট ডাকাতি আর ভোট চুরির নির্বাচন করেছিল। গতবার যা পারে নাই এবার সেটাই করবে। তারা (তত্ত্বাবধায়ক) রোজ কেয়ামত পর্যন্ত থাকার চেষ্টা করবে,বলেন তিনি। এদিকে সিলেট, রাজশাহী, বরিশাল ও খুলনা সিটি কর্পোরেশনের সাম্প্রতিক শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের উদাহরণ তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই নির্বাচেই প্রমাণ করল, আওয়ামী লীগ সরকার, কেবল আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকলেই দেশে অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হয়। তারপরও জনগণ যদি ভোট দিয়ে ‘স্বার্থপর, লুটেরা, খুনী, দুর্নীতিবাজ এবং জঙ্গি, সন্ত্রাসীদের’ ক্ষমতায় আনতে চায়- তাহলে আওয়ামী লীগের কিছু বলার নেই বলে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, এটা সম্পূর্ণ বাংলার মানুষের ব্যাপার। গতকাল মত বিনিময়ের প্রারম্ভিক বক্তৃতায় ‘এক এগারো পরবর্তী’ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টাদেরও সমালোচনা করেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, “উপদেষ্টারা তত্ত্ব কথা শোনান। তারা তো ইলেকশন করতে পারেন নাই। আসলো আর্মি ব্যাকড। আর্মি হেডেড হবার চেষ্টা করলে। আর ইলেকশন দেয় না। বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ের ঘটনাপ্রবাহ মনে করিয়ে দেয়ার সময় গণফোরাম সভাপতি কামাল হোসেনের প্রসঙ্গও আসে শেখ হাসিনার কথায়। তারা (তত্ত্বাবধায়ক) যে ইলেকশন না দিয়েও থাকতে পারে সে বক্তব্য দিল আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন একজন আইনজীবী,যিনি এক সময় আমাদের সাথে ছিলেন। ঘর ভেঙে চলে গেছেন। তিনি আবার এলান করলেন, রোজ কেয়ামত পর্যন্ত এই সরকার থাকতে পারবে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের প্রক্ষে সরকারের দৃঢ় অবস্থান তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, “কেয়ারটেকার আন্দোলন কিছুই না। মুখে তো বলতে পারে না। আসলে যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচানো। আওয়ামী লীগকে সরকার থেকে সরিয়ে বিরোধী দল যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচানোর আশা করছে বলেও- মন্তব্য করেন, শেখ হাসিনা,আওয়ামী লীগকে সরকার থেকে সরিয়ে বিরোধী দল দ্ধাপরাধীদের বাঁচানোর আশা করছে বলেও- মন্তব্য করেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
আবারো যদি কোনো অসাংবিধানিক তত্ত্বাবধায়কের নামে সরকার ক্ষমতায় এলে তারা, কেয়ামত পর্যন্ত’ থাকতে চাইবে-প্রধানমন্ত্রী
Share This