মঙ্গলবার দুপুরে বাজারে গেলে ক্ষতিগ্রস্থ সার ও কীটনাশক ব্যবসায়ী সুষেন সরকার সাধু জানান, তিনি বিএডিসি, এসিআইসহ বিভিন্ন কোম্পানীর সার ও কীটনাশক বিক্রেতা। চলতি মৌসুমে ব্যাংক ও এনজিও থেকে লোন নিয়ে মাল তুলেছিলেন দোকানে। অগ্নিকান্ডে সর্বত্র হারিয়ে বর্তমানে ওই পোড়া ভিটির উপর পলিথিন টাঙিয়ে বসে রয়েছেন তিনি। তিনি আরও জানান, তার মত অনেকেই ব্যাংক, এনজিও, মহাজনের কাছ থেকে লোনের টাকা নিয়ে মাল তুলেছিলেন। এখন লোন পরিশোধের অন্য কোন উপায় না থাকায় মহা দুশ্চিন্তায় রয়েছেন তারা। সেদিনের অগ্নিকান্ডে অনেকেই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি পরিবার পরিজন নিয়ে রাতে থাকার জায়গাটুকুও হারিয়েছেন। ব্যবসায়ীরা বর্তমানে সরকারী-বেসরকারী কোন সহযোগিতা পাননি। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ যথাসর্বত্র পুড়ে যাওয়ায় তারা মানবেতর জীবনযাপন করছেন। অনেক ব্যবসায়ীর বসতঘর পুড়ে যাওয়ায় বর্তমানে অন্যের বাড়িতে পরিবার পরিজন নিয়ে রাতযাপন করছেন। জানা গেছে, গত ২৯ ডিসেম্বর রাতে একটি দর্জি দোকানের শর্টসার্কিট থেকে অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত হওয়ায় বসতবাড়িসহ ৫১টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সম্পূর্ণ ভস্মীভূত হয়। ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ীদের মাঝে সাবেক চিফ হুইপ আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ ব্যক্তিগত তহবিল থেকে কম্ব^ল বিতরণ করেছেন।