প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন নিরপেক্ষ হবে না দাবি করে নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকার প্রতিষ্ঠার দাবিতে আন্দোলনে রয়েছে বিএনপি নেতৃত্বাধীন বিরোধী দল। আর এর ফলে দেশের আগামী নির্বাচন নির্বাচিত অর্থাৎ আওয়ামী লীগের অধীনেই হবে। এদিকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহালে বিরোধীদলের দাবি আবারও নাকচ করে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, “অনেকেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন চাচ্ছেন। ২০০৭-২০০৮ সালের ইয়াজউদ্দীন-ফখরুদ্দীন- মঈনুদ্দিনের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অভিজ্ঞতা আমাদের আছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, “তখন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আড়ালে আসল ক্ষমতা চালিয়েছে ডিজিএফআই , গত শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) যৌথ ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আগামীতে যদি দেশে আবারও তত্ত্বাবধায়ক সরকার আসে তবে ১০ বছরেও কোনো নির্বাচন হবে না। ২০০৭ সালে দেশে জরুরি অবস্থা জারির পর সেনা সমর্থনে যে তত্ত্বাবধায়ক সরকার দায়িত্ব নিয়েছিল, তারা দুই বছর পর নির্বাচন দিয়েছিল। ইফতারের আগে দেশ ও জাতির সমৃদ্ধি, শাস্তি ও উন্নয়ন কামনা করে বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। মোনাজাত পরিচালনা করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব অধ্যাপক মাওলানা সালাহউদ্দিন আহমেদ।