এদিকে আওয়ামী লীগ নেতা রবিউল ইসলাম ইসলামকে জামায়াত-শিবির ক্যাডাররা পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করেছে অভিযোগ করে সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগ লাশ নিয়ে মঙ্গলবার সকালে শহরে বিক্ষভ মিছিল ও ঘন্টাব্যাপী সড়ক অবরোধ করেছে। মিছিলটি সদর হাসপাতাল থেকে বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে সার্কিট হাউজ মোড়ে ঘন্টাব্যাপী যশোর সাতক্ষীরা সড়ক অবরোধ করে রাখে।
এসময় প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, জেলা আ’লীগের সাধারন সম্পাদক নজর“ল ইসলাম, সহ-সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আবু নাসিম ময়না, যুগ্ন সম্পাদক অধ্যক্ষ আবু আহমেদ, শ্রমিক লীগ সভাপতি ছাইফুল করিম সাবু। বক্তারা বলেন, অবিলম্বে এ সন্ত্রাসী কার্যকলাপে জড়িত জামায়াত-শিবির সমার্থক খুনিদের খুজে আইনের আওতায় না নিয়ে আসলে আ’লীগ কঠোর কর্মসূচী গ্রহন করবে। এদিকে রবিউল ইসলাম হত্যার পর সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার মোল্যা জাহাঙ্গির হোসেনের নেতৃত্বে পুলিশ ও বিজিবি শিবপুর ও আঁগরদাড়ী ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে অভিযান শুর“ করে। সোমবার রাত থেকে মঙ্গলবার বিকেল ৫ টা পর্যন্ত যৌথ অভিযান চালিয়ে ৪২ জন জামায়াত-শিবির নেতা-কর্মীকে আটক করা হয়েছে। আটককৃতদের মধ্যে প্রাথমিকভাবে সদর উপজেলার তেতুলতলা গ্রামের শাহর“লের মেয়ে কাকলি খাতুন, হরিশপুর গ্রামের মুনছুর সরদারে ছেলে রাশেদ সরদার ও শহরের কাটিয়া লস্করপাড়া এলাকার হাবিবুর রহমানে ছেলে আজাদুল ইসলাম মিঠুর নাম পাওয়া গেলেও অন্যদের নাম ঠিকানা তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশ জানাইনি। দুপুরে খুলনা রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি রফিকুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
সাতক্ষীরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জয়দেব চৌধুরি জানান, কয়েকটি কারনে এ হত্যাকান্ড ঘটতে পারে। পুলিশ প্রাথমিকভাবে ধারনা করছে। স্থানীয় শিবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা আব্দুল মজিদ রাস্ট্র বিরোধী কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগে সম্প্রতি স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয় থেকে তাকে সাময়িক অব্যাহতি দেয়া হয়। এর পর ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নেয়া নিয়ে বর্হিষ্কৃত চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদের সাথে আওয়ামী লীগ নেতা রবিউল ইসলামের মত পার্থক্য দেখা দিয়েছিল। একারণেও তাকে হত্যা করা হতে পারে। এছাড়া সন্ত্রাস দমন, মাদক বিরোধী শক্ত অবস্থান, স্থানীয় কতিপয় ব্যক্তির সাথে জমি নিয়ে বিরোধ এবং জামায়াত-শিবির নেতাকর্মীদের সাথে মতদ্ব›দ্ধ থাকার কারণেও এ হত্যাকাÊ ঘটতে পারে বলে মনে করছে পুলিশ। পুলিশের ধারণ, পেষাদার খুনিদের দিয়েই এই হত্যাকাÊ ঘটানো হয়েছে। ঘটনার পরপরই পুলিশ সংশিষ্ট স্থান থেকে একটি মুখোস মানকি টুপি ও নিহত রবিউলের ব্যবহৃত ডিসকভারি কারো রং এর মটর সাইকেল উদ্ধার করেছে। এসব বিষয়গুলি নিয়ে পুলিশ প্রাথমিক তদন্ত কাজ শুর“ করলেও কোন কিছুতেই তদন্তের স্বার্থে মুখ খুলছে না পুলিশ। এদিকে আওয়ামী লীগ নেতা রবিউল ইসলাম হত্যার ঘটনায় ৪২ জন কে আটক করা হয়েছে বলে জানান। তারা অধিকাংশই জামায়াত-শিবির ও বিএনপি‘র সাথে সম্পৃক্ত। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ অব্যহত আছে।